আনিসুলের পথ ধরেই পরিবর্তন আনব: রুবানা

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রয়াত মেয়র স্বামী আনিসুল হকের পথ ধরে ‘পরিবর্তন’ আনতে চান

তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর প্রথম নারী সভাপতি রুবানা হক।

তিনি বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ হবে- কী করে শ্রমিক ও মালিক একসঙ্গে কাজ করবে। আমার প্রয়াত স্বামী আনিসুল হক দুই বছরে দেখিয়ে গেছেন সবাইকে- কীভাবে পরিবর্তন আনতে হয়। তার মানে বদলানো সম্ভব, সেভাবে কাজ করব।

তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠনের (বিজিএমইএ) নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর শনিবার তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় রুবানা হক এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশের পোশাক খাত নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে যে ইমেজ সংকট রয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে হবে। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করব সেটি কাটিয়ে উঠতে।

‘অনেকেই মনে করেন, আমরা সবচেয়ে সস্তা। এই সস্তা কোনোভাবেই ভালো না বলে আমি ও আমার পরিষদ মনে করি। আমরা বলতে চাই- প্রতিযোগিতা হলো সবচেয়ে ভালো। যদিও আমরা সম্মিলিতভাবে দরকষাকষির জায়গায় পৌঁছতে পারিনি। সবাই এ বিষয়ে একমত হতে পারিনি। এখন সময় এসেছে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে একটা উদ্যোগ নেয়া।’

রুবানা হক বলেন, আপনারা জানেন শেয়ার বিল্ডিং মোটেও অ্যালাউড নয়। অথচ বহু চার লাইন, ছয় লাইন ফ্যাক্টরির শেয়ার বিল্ডিং রয়েছে। এখন আমাদের উচিত হবে, অন্তত পক্ষে এসব কারখানা যেন ফায়ার ও ইলেকট্রিক সেফটিটা নিশ্চিত করা যায়।

গার্মেন্ট সেক্টরে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে পারলে ও গণমাধ্যম আমাদের সঙ্গে কাজ করলে এ খাতের হারানো ইমেজ ফিরে আসবে বলেও মনে করেন তিনি।

প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের স্ত্রী আরও বলেন, আমাদের কাছে বেশ ভালো মানের ফ্যাক্টরি রয়েছে। আমরা মনে করি সেলফ মনিটরিংয়ের এখনই সময়। আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় রফতানি খাত পোশাক। দেশেও সবচেয়ে বেশি মানুষ এ খাতের সঙ্গে জড়িত।

তিনি বলেন, আমরাই মূলত দেশে অর্থনীতির চালিকা হিসেবে কাজ করছি। আমাদের বেশ কিছু দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের কাছে স্বচ্ছতাও থাকবে। প্রতিশ্রুতি দিতে চাই, আমাদের প্যানেলের কাজের প্রতি নিষ্ঠার একটুও অভাববোধ থাকবে না।

দায়বদ্ধতার কথা উল্লেখ করে রুবানা বলেন, পুরো পরিষদ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করব। আমাদের দায়বদ্ধতার কোনো প্রকার ত্রুটি দেখবেন না। তার পরও কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে সেটি ধরিয়ে দেয়ার আহ্বান থাকল।

অ্যাকর্ড অ্যালায়েন্স প্রসঙ্গে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, তারা অনেক করেছেন আমাদের জন্য। এ জন্য আমরা খুবই কৃতজ্ঞ। কিন্তু এমন একটি সময়ে আমরা দাঁড়িয়েছি, যেখানে সব গার্মেন্ট পূর্ণসংস্কার হয়েছে। এখন এসব কারখানার সংস্কার কীভাবে টেকসই করা যায়, সেগুলো দেখতে হবে।

Source: jugantor.com  Link to the Original Article