Tag: রুবানা হক

বিজিএমইএ নির্বাচন : সব পদে বিজয়ী রুবানা হকের প্যানেল

তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নতুন পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হকের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত ফোরাম। প্যানেলটি থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৩৫ জন পরিচালক পদে জয়ী হয়েছেন। স্বাধীনতা পরিষদের কোনো প্রার্থী জয়ী হতে পারেননি।সম্মিলিত ফোরামের প্যানেলপ্রধান হিসেবে রুবানা হক বিজিএমইএর পরবর্তী সভাপতি হচ্ছেন। নবনির্বাচিত ৩৫ পরিচালক আগামী শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনের নতুন সভাপতি ও সাতজন সহসভাপতি নির্বাচিত করবেন। নতুন পরিচালনা পর্ষদ ২০ এপ্রিল দায়িত্বভার গ্রহণ করবে।নির্বাচনে জয়ী পরিচালকরা হলেন রুবানা হক, এসএম মান্নান, ফয়সাল সামাদ, মোহাম্মদ নাছির, আসিফ ইব্রাহিম, আরশাদ জামাল, এমএ রহিম, কেএম রফিকুল ইসলাম, মো. শহীদুল হক, মশিউল আজম, ইনামুল হক খান, মাসুদ কাদের, ইকবাল হামিদ কোরাইশী, নাছির উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, সাজ্জাদুর রহমান মৃধা, রেজওয়ান সেলিম, মুনির হোসেন, একেএম বদিউল আলম, মিরান আলী, মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, মোশারফ হোসেন ঢালী, শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, মহিউদ্দিন রুবেল, শরীফ জহির ও নজরুল ইসলাম।এ প্যানেল থেকে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিজয়ীরা হলেন মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, এএম চৌধুরী, এএম মাহবুব চৌধুরী, এনামুল আজিজ চৌধুরী, মোহাম্মদ আতিক, খন্দকার বেলায়েত হোসেন, অঞ্জন শেখর দাশ, মোহাম্মদ মুছা ও মোহাম্মদ মেরাজ-ই-মোস্তফা।বিজিএমইএর পরিচালক পদের সংখ্যা ৩৫। তবে চট্টগ্রাম অঞ্চলে নয়জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় গতকাল ঢাকা অঞ্চলের ২৬ পরিচালক পদে ভোট হয়। ২৬ পরিচালক পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন দুই প্যানেলের ৪৪ প্রার্থী। এর মধ্যে সম্মিলিত ফোরামের ২৬ ও স্বাধীনতা পরিষদের ১৮ জন।গতকাল ঢাকা ও চট্টগ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ হয়েছে।নির্বাচন বোর্ডের সদস্য নিহাদ কবির বলেন, নির্বাচনে ভোট পড়েছে ঢাকায় ১ হাজার ২০৪ ও চট্টগ্রামে ২৮৮টি। এর মধ্যে বৈধ ভোট ঢাকায় ১ হাজার ১২২ ও চট্টগ্রামে ২৭১টি। অর্থাৎ বৈধ ভোটের সংখ্যা ১ হাজার ৩৯৩। আর বাতিল হয়েছে ৯৯টি।নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর সম্মিলিত ফোরামপ্রধান রুবানা হক বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, অনেক দিন পর অনেক ভোটারকে আমরা একসঙ্গে দেখলাম। অনেকে অসুস্থ ছিলেন, মুরব্বি ছিলেন, তারাও এসেছেন। আমি প্রত্যেক ভোটারকে অভিনন্দন জানাই। আমার ও আমাদের সবার জন্য সবচেয়ে আনন্দের যে এবার সম্মিলিত, ফোরাম, স্বাধীনতা পরিষদ একসঙ্গে ভোট করেছি। একটিই কারণ সেটি হলো আমরা সবাই এখানে শিল্পের খাতিরে একজোট হয়েছি। এ নির্বাচনে ভোটারের জয় হয়েছে। প্রত্যেকের স্বার্থ রক্ষা করে আমরা যেন সংগঠন পরিচালনা করতে পারি, সেজন্য আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন, বিশেষ করে গণমাধ্যমের বন্ধুরা।স্বাধীনতা পরিষদের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকেই। আমাদের একটা প্রতিশ্রুতি ছিল, যারাই জিতুক যারাই হারুক, আমরা মেনে নেব। আমাকে ডাকা হলে আমি নিষ্ঠার সঙ্গে সেই দায়িত্ব পালন করব, সহযোগিতা করে যাব।বিজিএমইএর পক্ষ থেকে সবাইকে ধন্যবাদ জানান বিদায়ী সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি ছিল অপ্রত্যাশিত। ভোট পড়েছে প্রায় ৭৬ শতাংশ। সুন্দর পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। এই প্রথম একজন নারী বিজিএমইএ পরিচালনা করতে যাচ্ছেন। আমি মনে করি, আমাদের সামনে যারা আছেন, সবাই আপনারা তাকে সহযোগিতা করবেন। তার প্রতি রইল আন্তরিক শুভকামনা।

Source: bonikbarta.net  Link to the Original Article

বিজিএমইএ ভোটে রুবানার প্যানেলের সবাই জয়ী

কারওয়ানবাজারে বিজিএমইএ ভবনে শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়।

ভোট গণনা শেষে রাত সাড়ে ৯টায় নির্বাচন কমিশনার জাহাঙ্গীর আলামিন ফল ঘোষণা করেন। বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদের ২৬টি (ঢাকার) পদের সব কয়টিতে রুবানা নেতৃত্বাধীন প্যানেলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন বলে জানান তিনি।

এর বাইরে সংগঠনের পরিচালনা পর্ষদে চট্টগ্রামের জন্য সংরক্ষিত নয়টি পদে একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তারা সবাই সম্মিলিত পরিষদ-ফোরাম-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত।

বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদের সব কয়টি পদই এই প্যানেলের হওয়ায় রুবানা হকের সংগঠনটির সভাপতি হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার। আগামী দুই বছরের সংগঠনটির নেতৃত্বে আসছেন তিনি।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুলের স্ত্রী রুবানাই হচ্ছেন বিজিএমইএর প্রথম নারী সভাপতি। গার্মেন্ট ব্যবসায়ী আনিসুলও এক সময় এই সংগঠনের সভাপতি ছিলেন।

বিজিএমইএর নেতা নির্বাচন পদ্ধতি অনুযায়ী পরিচালনা পর্ষদের ৩৫ পরিচালক নির্বাচন করেন সাধারণ সদস্যরা। পরে নির্বাচিত পরিচালকরা একজন সভাপতি এবং ৭ জন সহসভাপতি নির্বাচিত করে থাকেন।

বিজিএমইএ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসা সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম সমঝোতার মাধ্যমে সম্মিলিত পরিষদ-ফোরাম প্যানেল দেয়, যার নেতা নির্বাচন করা হয় রুবানা হককে।

নির্বাচনে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিল ডিএসএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম নেতৃত্বাধীন স্বাধীনতা পরিষদ, যারা ফোরাম ও সম্মিলিত পরিষদের আধিপত্য ভাঙতে ভোটের দাবিতে অনড় ছিলেন।

এই প্রথম ভোটে অংশ নেওয়া স্বাধীনতা পরিষদ পূর্ণ প্যানেলে প্রার্থী করতে পারেনি। ভোটকেন্দ্রের ভেতরে তাদের কোনো এজেন্টও ছিল না। সকালে দুজন এজেন্ট বুথে এলেও কিছুক্ষণের মধ্যে তারা চলে যান।

এই প্যানেলের ১৮জন প্রার্থীর কেউই জয়ী হতে পারেননি।

বিজিএমইএ নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর জানিয়েছেন, বিজিএমইএর ১ হাজার ৯৫৬ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ হাজার ৪৯২ জন। ভোটের হার ৭৬ দশমিক ২৭ শতাংশ। এর মধ্যে ৯৯টি ভোট বাদ পড়েছে।

চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা গেছে, রুবানা হক ১২৮০ ভোট, আব্দুর রহিম ১২৯৫ ভোট, মো. নাছির উদ্দিন ১২২৮ ভোট, আসিফ ইব্রাহিম ১১২৭ ভোট, আরশাদ জামাল দিপু ১২৬৮ ভোট, কে এম রফিকুল ইসলাম ১২৬৭ ভোট, মশিউল আজম ১২৫৬ ভোট, ইনামুল হক খান ১২৬৩ ভোট, রেদওয়ান সেলিম ১২২৭ ভোট, কামাল উদ্দিন ১২২৪ ভোট, মোহাম্মদ নাছির ১২২৩ ভোট, সাজ্জাদুর রহমান মৃধা ১২২১ ভোট, শহীদুল হক মুকুল ১২০৭ ভোট, মাসুদ কাদের মনা ১১৮৭ ভোট, ইকবাল হামিদ কোরাইশী ১২০১ ভোট, ফয়সাল সামাদ ১১২৪ ভোট, মুনির হোসাইন ১২১৮ ভোট, এ কে এম বদিউল আলম ১২১৬ ভোট, মিরান আলী ১২৫৭ ভোট, মোহাম্মদ আবদুল মোমেন ১২০৮ ভোট, মোশাররফ হোসেন ঢালী ১১৭৪ ভোট, শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী ১১৯৬ ভোট, মহিউদ্দিন রুবেল ১২৩৭ ভোট, এসএম মান্নান কচি ১১৭৩ ভোট, শরীফ জহির ১১৭৩ ভোট এবং নজরুল ইসলাম ১১৪৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

চট্টগ্রাম অঞ্চলে এই প্যানেলের বিজয়ীরা হলেন- মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, এ এম চৌধুরী, এ এম মাহবুব চৌধুরী, এনামুল আজিজ চৌধুরী, মোহাম্মদ আতিক, খন্দকার বেলায়েত হোসেন, অঞ্জন শেখর দাশ, মোহাম্মদ মুছা ও মোহাম্মদ মেরাজ-ই-মোস্তফা।

অপরদিকে স্বাধীনতা পরিষদ প্যানেলের জাহাঙ্গীর আলম ৪২২ ভোট, সাইফুল ইসলাম ৩০৭ ভোট, দেলোয়ার হোসেন ২৭৫ ভোট, খন্দকার ফরিদুল আকবর ২৬৩ ভোট, হুমায়ুন রশিদ ২৫০ ভোট, কাজী আব্দুস সোবহান ২৪৭ ভোট, শওকত হোসেন ২৪৩ ভোট, শরীফুল আলম ২৩৭ ভোট, মেহয্যাবীন মমতাজ ২৩৩ ভোট, হোসেন সাব্বির মাহমুদ ২২৭ ভোট, আয়েশা আক্তার ২২০ ভোট, মাহমুদ হোসেন ২১৩ ভোট, ওমার নাজিম হেকমত ২১২ ভোট, জাহাঙ্গীর কবির ২১০ ভোট, জাহিদ হাসান ২০৮ ভোট, ওয়ালীউল্যাহ ১৯৯ ভোট ও জহিরুল ইসলাম  ১৯৭ ভোট পেয়েছেন।

আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণার সময় বিজিএমইএর বর্তমান সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলামিন, পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর, সম্মিলিত ফোরামের প্যানেল নেতা রুবানা হক ও স্বাধীনতা পরিষদের প্যানেল নেতা জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন ।

নির্বাচনে এজেন্ট নিয়ে অভিযোগ থাকলেও নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছিলেন জাহাঙ্গীর আলম।

ভোট চলাকালে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “ভেতরে আমাদের একজন এজেন্টও নেই। এই হল নির্বাচনের অবস্থা। তবে সার্বিক পরিস্থিতিতে খুশি বলতেই হবে। ভোটাররা এসে সুন্দর ও নির্বিঘ্নভাবে ভোট দিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনটা হচ্ছে, অন্তত এই কথা ভেবেই আমি খুশি।”

এজেন্ট কেন দেওয়া সম্ভব হয়নি- প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা ৯ জনের একটা তালিকা দিয়েছিলাম এজেন্ট করার জন্য। সেখানে দুজন ছাড়া বাকিরা সবাই নির্বাচনে পরিচালক পদপ্রার্থী। প্রার্থীদেরকে যে এজেন্ট করা যাবে না, এই কথা কোথাও উল্লেখ নেই। তবুও কমিশন তাদের এজেন্ট হিসাবে বিবেচনা করেনি।”

রুবানার কর্মপরিকল্পনা

বিজিএমইএর সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশের পোশাকখাতের ভাবমূর্তি নিয়ে কাজ করবেন বলে জানান রুবানা হক।

তিনি বলেন, “প্রথম কাজ হবে পোশাক খাতের ভাবমূর্তির ঘাটতি কাটিয়ে উঠা। বাংলাদেশ সস্তায় পণ্য দিচ্ছে বলে যে কথা প্রচলিত আছে সেটা বদলাতে হবে। সস্তায় কখনও ভালো জিনিস হয় না। শব্দটি হবে ‘কম্পারেটিভলি গুড প্রাইস’, সেই ট্রেন্ড চালু করতে আমাদের কাজ করতে হবে। দামের ব্যাপারে দর কষাকষিতে কখনই ছাড় দেওয়া যাবে না। বিজিএমইএ থেকে আমি এবং আমার প্যানেল সেই লক্ষ্যে কাজ করার উদ্যোগ নিতে পারি।

“যদি ফ্যাক্টরিগুলো মনে করে, দর কষাকষির ক্ষেত্রে আমাদের সাহায্য লাগবে আমরা তাহলে অবশ্যই নেগোসিয়েট করে দেব। সেটার জন্য আমরা আলাদা একটা সেল করব।”

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সম্পর্কে নিজের ভাবনা তুলে ধরে রুবানা হক বলেন, “ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প অনেকগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তাদের সবার কষ্ট হচ্ছে। অতিসত্বর তাদের পক্ষে আমাদের দাঁড়াতে হবে। কিছু দিন পর পর বেতন দিতে পারছেন না বলে আপনারা শুনতে পাচ্ছেন। এর ফলে অনেক ভদ্রলোক অনেক কষ্ট পাচ্ছেন। তাদের উত্তরণের পক্ষে দাঁড়াতে হবে। ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পকে কী করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।”

সব কারখানাকে নিরাপদ করতে কাজ করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, “কমপ্লায়েন্স ইস্যুতে শেয়ার্ড বিল্ডিং গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু আমাদের ছোট ছোট তিন লাইন, চার লাইনের ফ্যাক্টরিগুলোর অনেক শেয়ার্ড বিল্ডিং আছে। এসব ফ্যাক্টরির ফায়ার এবং ইলেক্ট্রিক্যাল সেইফটিটা যেন নিশ্চিত হয় সেই লক্ষ্যে আমাদের করণীয় আছে।”

ভবিষ্যতে পোশাক খাতে আরও বেশি স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গণমাধ্যমকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চান রুবানা।

“এই সেক্টরে একেবারেই স্বচ্ছতার প্রয়োজন আছে। গণমাধ্যম যদি আমাদের সঙ্গে থাকে এবং আমরা দুই পক্ষ যদি এক হয়ে কাজ করি তাহলে আমি নিশ্চিত, এই সেক্টরের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে একেবারেই সময় লাগবে না।”

গার্মেন্ট মালিকদের প্রতি আহ্বান রেখে তিনি বলেন, “নিজেরা যেন একজন অন্যের বিরুদ্ধে অসম প্রতিযোগিতায় লিপ্ত না হই সেটাই হবে চ্যালেঞ্জ। সঠিক দামে পৌঁছাতে না পারলেও ফ্যাক্টরির চাকা চলতে হবে বলে অল্প দামে অর্ডার নিয়ে নেওয়া ঠিক হবে না। এই জায়গাটায় আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। কারণ ক্রেতারা যতই বলুক উনারা চলে যাবেন, আসলে উনারা যেতে পারবেন না। কারণ বাংলাদেশের মতো এমন দাম অন্য কোনো দেশ অফার করতে পারবে না।”

কারখানার নিরাপত্তার বিষয়ে বিদেশি ক্রেতাদের তদারকি প্রতিষ্ঠান অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সকে ‘শিগগিরই’ আদালতের নির্দেশ মেনে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের আহ্বান জানান রুবানা হক।

তিনি বলেন, “অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স আমাদের জন্য অনেক করেছে, সেজন্য আমরা তাদের কাছে খুবই কৃতজ্ঞ। কিন্তু এখন আমাদের ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ কারখানাই ঠিক হয়ে গেছে। ফলে এখন আমাদের নজর দিতে হবে তাদের দায়িত্ব হস্তান্তরের অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের দিকে। হাই কোর্ট অ্যাকর্ডকে আটটি শর্ত দিয়েছে। এই শর্ত মেনে যদি তারা থাকতে পারে তাহলে অল্প দিন থাকবে।

“কিন্তু তারা যে বলতেই থাকবে যে, কারখানা এখনও প্রস্তুত না, সেটা আমরা মানতে রাজি নই। শিল্প প্রস্তত কি না সেটার জবাব শিল্প নিজেই তার কাজের মাধ্যমে দেবে।”

Source: bdnews24.com  Link to the Original Article

রুবানা হকের পূর্ণ প্যানেল বিজয়ী

মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হকের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত–ফোরাম প্যানেল তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৩৫ পরিচালক পদের সবগুলোতে জয়ী হয়েছে। ফলে সম্মিলিত–ফোরামের প্যানেল প্রধান হিসেবে রুবানা হক বিজিএমইএর পরবর্তী সভাপতি হচ্ছেন।

বিজিএমইএর পরিচালক পদের সংখ্যা ৩৫। তবে চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৯ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালক নির্বাচিত হওয়ায় আজ শনিবার ঢাকা অঞ্চলের ২৬ পরিচালক পদের জন্য ভোট হয়েছে। ২৬ পরিচালক পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন দুই প্যানেলের ৪৪ জন প্রার্থী। তার মধ্যে সম্মিলিত–ফোরামের ২৬ ও স্বাধীনতা পরিষদের ছিলেন ১৮ জন প্রার্থী। সম্মিলিত–ফোরামের সবাই বিজয়ী হন।

ঢাকা ও চট্টগ্রামের উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। সকাল আটটায় শুরু হয়ে বিকেল চারটা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ হয়েছে। মোট ১ হাজার ৯৫৬ ভোটারের মধ্যে ১ হাজার ৪৯২ জন ভোট দিয়েছেন, অর্থাৎ ভোট পড়েছে ৭৬ শতাংশের মতো। ঢাকার ১ হাজার ৫৯৭ ভোটারের মধ্যে ১ হাজার ২০৪ জন এবং চট্টগ্রামের ৩৫৯ ভোটারের মধ্যে ২৮৮ জন ভোট দিয়েছেন। তবে ৯৯টি ভোট বাতিল হয়েছে। রাত সাড়ে নয়টার দিকে ভোট গণনা শেষ হয়েছে।

বিজিএমইএর নির্বাচনকেন্দ্রিক বড় দুই জোট সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম সমঝোতার মাধ্যমে একটি প্যানেল দিয়েছে। তার বিপরীতে নতুন জোট স্বাধীনতা পরিষদ খণ্ডিত প্যানেল দেওয়ায় সংগঠনটির নেতৃত্ব নির্বাচনে ৬ বছর পর ভোট হয়েছে। তবে স্বাধীনতা পরিষদ চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রার্থী না দেওয়ায় সেখানে সম্মিলিত–ফোরামের ৯ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন।

বিজয়ীরা কত ভোট পেলেন:
সম্মিলিত–ফোরামের এম এ রহিম ১২৯৫, রুবানা হক ১২৮০, আরশাদ জামাল ১২৬৬, কে এম রফিকুল ইসলাম ১২৬৭, ইনামুল হক খান ১২৬৩, মিরান আলী ১২৫৭, মশিউল আজম ১২৫৬, মহিউদ্দিন রুবেল ১২৩৭, নাছির উদ্দিন ১২২৮, রেজওয়ান সেলিম ১২২৭, কামাল উদ্দিন ১২২৪, মোহাম্মদ নাছির ১২২৩, সাজ্জাদুর রহমান মৃধা ১২২১, মুনির হোসেন ১২১৮, এ কে এম বদিউল আলম ১২১৬, মোহাম্মদ আবদুল মোমেন ১২০৮, শহীদুল হক ১২০৭, ইকবাল হামিদ কোরাইশী ১২০১, শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী ১১৯৬, মাসুদ কাদের ১১৮৭, মোশারফ হোসেন ঢালী ১১৭৪, এস এম মান্নান ১১৭৩, শরীফ জহির ১১৭৩, নজরুল ইসলাম ১১৪৯, আসিফ ইব্রাহিম ১১২৭, ফয়সাল সামাদ ১১২৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

অন্যদিকে স্বাধীনতা পরিষদের জাহাঙ্গীর আলম ৪২২, দেলোয়ার হোসেন ২৭৫, হুমায়ুন রশিদ ২৫০, রফিক হাসান ৪৫৬, সাইফুল ইসলাম ৩০৭, শওকত হোসেন ২৪৩, খন্দকার ফরিদুল আকবর ২৬৩, জাহাঙ্গীর কবির ২১০, জাহিদ হাসান ২০৮, শরিফুল আলম চৌধুরী ২৩৭, কাজী আবদুস সোবহান ২৪৭, জহিরুল ইসলাম ১৯৭, কাজী মাহয্যাবিন মমতাজ ২৩৩, মাহমুদ হোসাইন ২১৩, হোসেন সাব্বির মাহমুদ ২২৭, আয়েশা আক্তার ২২০, মো. ওয়ালীউল্লাহ ১৯৯ এবং ওমর নাজিম হেকমত ২১২ ভোট পেয়েছেন।

Source: prothomalo.com  Link to the Original Article

প্রথম নারী সভাপতি পাচ্ছে বিজিএমইএ

তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নির্বাচন গতকাল শনিবার শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হকের নেতৃত্বাধীন ‘সম্মিলিত ফোরাম’ প্যানেলের সবাই জয়ী হয়েছেন। গতরাত পৌনে ১০টায় নির্বাচনী বোর্ড এ ফলাফল প্রকাশ করে। আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে পরিচালকদের ভোটে সভাপতি, সহ-সভাপতিসহ পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন হবে।

প্যানেল প্রধান হিসেবে রুবানা হকের সভাপতি হওয়া এখন প্রায় নিশ্চিত। সভাপতি নির্বাচিত হলে তিনিই হবেন বিজিএমইএর এযাবত্কালের প্রথম নারী সভাপতি। রুবানা হক ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের সহধর্মিণী। আনিসুল হকও বিজিএমইএ ও এফবিসিসিআইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। গতকালের ভোটে সংগঠনটির ১ হাজার ৯৫৬ ভোটারের মধ্যে ১ হাজার ৪৯২ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

নির্বাচনে সম্মিলিত ফোরামের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল স্বাধীনতা পরিষদ প্যানেল। ডেনিম প্রসেসিং প্লান্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম ‘স্বাধীনতা পরিষদ’ প্যানেলের নেতৃত্ব দেন। বিজিএমইএতে নির্বাচনের বদলে সমঝোতায় কমিটি গঠনের বিরোধিতা করে প্যানেল গঠন করে নির্বাচনে নামেন তিনি। তার জোরালো উদ্যোগের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও তাঁর নেতৃত্বাধীন প্যানেলের কেউই জয়ী হতে পারেননি। অবশ্য নির্বাচন শুরু হওয়ার পর তার দুজন এজেন্ট ‘অজ্ঞাত’ কারণে বের হয়ে যেতে বাধ্য হন বলে জানান তিনি। এর পর তাঁর প্যানেল আর কোনো এজেন্ট ‘অ্যালাউ’ করা হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন। অবশ্য ইত্তেফাককে তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে যিনি জিতবেন, তাকেই স্বাগত জানাবেন। বিজিএমইএ সদস্যদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার চেষ্টাই ছিল তাঁর মূল উদ্দেশ্য।

নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর গতরাতে ইত্তেফাকের সঙ্গে আলাপকালে রুবানা হক বলেন, অত্যন্ত সুন্দর ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে। ভোটার উপস্থিতি আমাদের প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষও আমাদের সাদরে গ্রহণ করেছে। গার্মেন্টস শিল্পের যে চ্যালেঞ্জ আমরা মোকাবিলা করছি, সবাইকে নিয়ে আমাদের গোটা পর্ষদ সর্বস্ব দিয়ে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করবে।

Source: ittefaq.com.bd  Link to the Original Article

বিজিএমইএর প্রথম নারী সভাপতি হচ্ছেন রুবানা হক

‘সম্মিলিত ফোরাম’ পূর্ণ প্যানেলে জয়ী

প্রথমবারের মতো দেশের তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি হতে যাচ্ছেন মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক। তিনি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র প্রয়াত আনিসুল হকের স্ত্রী। গতকাল শনিবার বিজিএমইএর নেতৃত্ব নির্বাচনে রুবানা হকের নেতৃত্বাধীন প্যানেল ‘সম্মিলিত ফোরাম’ বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে।

রাজধানীতে বিজিএমইএ কার্যালয়ের নুরুল কাদের মিলনায়তনে গতকাল সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। দ্বিবার্ষিক এই নির্বাচনে ৭৬ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানায় বিজিএমইএ। সর্বশেষ তথ্য অনুসারে সবচেয়ে বেশি ভোট (৯৮০) পেয়েছেন সম্মিলিত ফোরামের এম এ রহিম। রুবানা হক ৯৬৪ এবং আরশাদ জামাল ৯৬৩ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে স্বাধীনতা পরিষদের প্রার্থীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট (৪৫৬) পেয়েছেন রফিক হাসান।

জানা যায়, মোট ভোটার সংখ্যা এক হাজার ৯৫৬। এর মধ্যে ঢাকায় এক হাজার ২০৪ এবং চট্টগ্রামে ২৮৮। গতকাল এক হাজার ৪৯২ জন ভোট দিয়েছেন।

এদিকে সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পরপরই এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেন স্বাধীনতা পরিষদের আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম। তবে নির্বাচন কমিশনের দাবি, ভোট সুষ্ঠু হয়েছে।

রুবানা হক কালের কণ্ঠকে বলেন, অত্যন্ত সুন্দর ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়েছেন বিজিএমইএর সদস্যরা। কেউ কেউ অসুস্থতার কারণে অক্সিজেন নিয়ে বুকে পেসমেকার বসিয়েও ভোট দিতে এসেছেন। তিনি আরো বলেন, ‘বিজিএমইএ সদস্যরা তাঁদের যে আমানত দিয়েছেন তা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব।’

বিজিএমইএর পরিচালক পদের সংখ্যা ৩৫। তবে চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৯ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালক নির্বাচিত হওয়ায় গতকাল শুধু ঢাকা অঞ্চলের ২৬ পরিচালক পদের জন্য ভোট হয়। ওই ২৬ পদের বিপরীতে লড়ছেন দুই প্যানেলের ৪৪ জন প্রার্থী।

নির্বাচনে বড় দুই জোট সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম সমঝোতার মাধ্যমে একটি প্যানেল দিয়েছে। তার বিপরীতে নতুন জোট স্বাধীনতা পরিষদ প্যানেল দেওয়ায় সংগঠনটির নেতৃত্ব নির্বাচনে ছয় বছর পর ভোট হচ্ছে। তবে স্বাধীনতা পরিষদ চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রার্থী না দেওয়ায় সেখানে সম্মিলিত ফোরামের ৯ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালক নির্বাচিত হন।

সম্মিলিত ফোরামের অন্য প্রার্থীরা হলেন এস এম মান্নান, ফয়সাল সামাদ, মোহাম্মদ নাছির, আসিফ ইব্রাহিম, কে এম রফিকুল ইসলাম, মো. শহীদুল হক, মশিউল আজম, ইনামুল হক খান, মাসুদ কাদের, ইকবাল হামিদ কোরাইশী, নাছির উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, সাজ্জাদুর রহমান মৃধা, রেজওয়ান সেলিম, মুনির হোসেন, এ কে এম বদিউল আলম, মিরান আলী, মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, মোশারফ হোসেন ঢালী, শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, মহিউদ্দিন রুবেল, শরীফ জহির ও নজরুল ইসলাম।

চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, এ এম চৌধুরী, এ এম মাহবুব চৌধুরী, এনামুল আজিজ চৌধুরী, মোহাম্মদ আতিক, খন্দকার বেলায়েত হোসেন, অঞ্জন শেখর দাশ, মোহাম্মদ মুছা ও মোহাম্মদ মেরাজ-ই-মোস্তফা।

জাহাঙ্গীর আলম ছাড়া স্বাধীনতা পরিষদের প্রার্থীরা হলেন দেলোয়ার হোসেন, হুমায়ুন রশিদ, রফিক হাসান, সাইফুল ইসলাম, শওকত হোসেন, খন্দকার ফরিদুল আকবর, জাহাঙ্গীর কবির, জাহিদ হাসান, শরিফুল আলম চৌধুরী, কাজী আবদুস সোবহান, জহিরুল ইসলাম, কাজী মাহয্যাবিন মমতাজ, মাহমুদ হোসাইন, হোসেন সাব্বির মাহমুদ, আয়েশা আক্তার, মো. ওয়ালীউল্লাহ এবং ওমর নাজিম হেকমত। রুবানা হক ২০০৬ সালে কবিতার জন্য সার্ক সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৬ থেকে ২০১০ সালে তিনি সাউথএশিয়া টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন। এ ছাড়া তিনি এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন-এর ট্রাস্টি মেম্বার।

রুবানা হক ও আনিসুল হক দম্পতির তিন সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে নাভিদুল হক বোস্টনের বেন্টলি ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যবস্থাপনায় উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি মোহাম্মদী গ্রুপের পরিচালক ও দেশ এনার্জি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

Source: Source: kalerkantho.com Link to the Original Article

রুবানা হক বিজিএমইএর নেতৃত্বে

তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নির্বাচনে মোহাম্মাদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হকের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত-ফোরাম প্যানেল নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছে। এ প্যানেলের প্রতিপক্ষ ছিল ডিজাইন অ্যান্ড সোর্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বাধীন স্বাধীনতা পরিষদ। এ প্যানেলের কেউ জয়ী হতে পারেননি।

গতকাল শনিবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে বিজিএমইএ ভবনে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। রাতে ফল ঘোষণা করে বিজিএমইএর নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড।

দীর্ঘ ৬ বছর পর নির্বাচন হওয়ায় ভোটারদের মধ্যে ছিল বেশ উৎসাহ। প্রার্থীদেরও নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট টানার চেষ্টা ছিল। পূর্ণ প্যানেলে জয়ী হওয়ায় রুবানা হকের এ সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। তিনি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের স্ত্রী।

নির্বাচনে জয়ী পরিচালকরা হলেন-রুবানা হক, এসএম মান্নান, ফয়সাল সামাদ, মোহাম্মদ নাছির, আসিফ ইব্রাহিম, আরশাদ জামাল, এমএ রহিম, কেএম রফিকুল ইসলাম, শহীদুল হক, মশিউল আজম, ইনামুল হক খান, মাসুদ কাদের, ইকবাল হামিদ কোরাইশী, নাছির উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, সাজ্জাদুর রহমান মৃধা, রেজওয়ান সেলিম, মুনির হোসেন, একেএম বদিউল আলম, মিরান আলী, মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, মোশারফ হোসেন ঢালী, শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, মহিউদ্দিন রুবেল, শরীফ জহির ও নজরুল ইসলাম।

চট্টগ্রাম অঞ্চলে এ প্যানেলের বিজয়ীরা হলেন- মোহাম্মদ আবদুস সালাম, এএম চৌধুরী, এএম মাহবুব চৌধুরী, এনামুল আজিজ চৌধুরী, মোহাম্মদ আতিক, খন্দকার বেলায়েত হোসেন, অঞ্জন শেখর দাশ, মোহাম্মদ মুছা ও মোহাম্মদ মেরাজ-ই- মোস্তফা।

দুই বছর মেয়াদি (২০১৯-২১) এ নির্বাচনে পরিচালনা পর্ষদের ৩৫টি পরিচালক পদে ৫৩ প্রার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৯ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ২৬ পদে ভোট হয়। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪৪ প্রার্থী। এর মধ্যে সম্মিলিত পরিষদ-ফোরামের প্রার্থী ২৬ জন, স্বাধীনতা পরিষদের ১৭ এবং একজন স্বতন্ত্র।

বিজিএমইএ নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড সূত্র জানায়, জয়ী পরিচালকরা ১৮ এপ্রিল ভোটের মাধ্যমে সভাপতি, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও সহসভাপতি নির্বাচিত করবেন। এর পর ২১ এপ্রিল নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবে বর্তমান কমিটি। বিজিএমইএ নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর সাংবাদিকদের জানান, এক হাজার ৯৫৬ ভোটারের মধ্যে ভোট দেন এক হাজার ৪৯২ জন। এর মধ্যে ৯৯ ভোট বাতিল হয়েছে। ভোটের হার ৭৬ দশমিক ২৭ শতাংশ।

এবারের নির্বাচনে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিজিএমইএর নির্বাচনকেন্দ্রিক বড় দুই জোট সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম সমঝোতার মাধ্যমে সম্মিলিত ফোরাম নামে একটি প্যানেলে অংশ নেয়। বিপরীতে ছিল নতুন জোট স্বাধীনতা পরিষদ।

বেলা ৩টার দিকে ভোট দিতে আসেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম। ভোট প্রদান শেষে তিনি বলেন, নির্বাচিত কমিটির কাছে প্রত্যাশা তারা যেন গার্মেন্ট সেক্টরের যে সমস্যা তা সমাধানে কাজ করেন। বর্তমানে এ খাতে সবচেয়ে বড় সমস্যা প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারে পিছিয়ে পড়া।

আরেক ভোটার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি একে আজাদ বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা জরুরি। কারণ নির্বাচনবিহীন কমিটি হলে সেই কমিটির কোনো কমিটমেন্ট থাকে না। এতে মালিকরা সেবা থেকে বঞ্চিত হন।

Source: dainikamadershomoy.com  Link to the Original Article

বিজিএমইএ’র প্রথম নারী সভাপতি রুবানা হক

তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ’র প্রথম নারী সভাপতি হয়েছেন মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক। শনিবার (৬ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত বিজিএমইএ’র নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে রুবানা হকের নেতৃত্বে সম্মিলিত ফোরাম প্যানেল। সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরামের ২৬ প্রার্থীর মধ্যে ২৬ জনই বিজয়ী হয়েছেন।

এর আগে বিজিএমইএ’র নির্বাচন সামনে রেখে সম্মিলিত পরিষদ এবং ফোরাম সমঝোতার মাধ্যমে যে প্যানেল জমা দেয় তাতে দলনেতা করা হয় ঢাকা উত্তরের প্রয়াত মেয়র বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আনিসুল হকের স্ত্রী রুবানা হককে। ফলে, বিজিএমইএ’তে আগামী দুই বছর নেতৃত্ব দেবেন রুবানা হক।

ফোরাম থেকে ১৯ এবং সম্মিলিত পরিষদ থেকে ১৬ জন দিয়ে সম্মিলিত পরিষদ-ফোরামের সমঝোতার প্যানেল করা হয়।

এদিকে বিজিএমইএ’র নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত বছরের জানুয়ারিতে স্বাধীনতা পরিষদ নামে একটি সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে। জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে এই পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে হেরে যায়।

শনিবার সকাল ৮টায় ঢাকার কারওয়ানবাজারে বিজিএমইএ ভবনের নুরুল কাদের মিলনায়তনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকাল ৪টা পর্যন্ত কোনওরকম বিরতি ছাড়াই ভোটগ্রহণ চলে। সংগঠনটির মোট ভোটার এক হাজার ৯৫৬ জন। এর মধ্যে ঢাকায় এক হাজার ৫৯৭ জন।

নির্বাচন পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, আজকের নির্বাচনে ঢাকায় ভোট দিয়েছেন এক হাজার ২০৪ জন এবং চট্টগ্রামে দিয়েছেন ২৮৮ জন।

নির্বাচনে সম্মিলিত ফোরাম ও স্বাধীনতা পরিষদ নামে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। সংগঠনটিতে পরিচালকদের মোট পদ ৩৫টি। এর মধ্যে ঢাকায় ২৬টি ও ৯টি চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক নির্বাচনে ভোট হচ্ছে না। তারা সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ঢাকার ২৬ পরিচালক পদে দুই প্যানেলের ৪৪ প্রার্থী লড়ছেন। ২৬ পদে পূর্ণ প্যানেল দিয়েছে সম্মিলিত ফোরাম। এসব পদে স্বাধীনতা পরিষদের প্রার্থী ছিল ১৮ জন।

বিজিএমইএ নতুন কমিটির প্রধান হিসাবে রুবানা হক নতুন এ দায়িত্ব প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার চ্যালেঞ্জটা হবে, কী করে শ্রমিক ও মালিক একসঙ্গে কাজ করবো। অনাস্থার জায়গাগুলো আমরা দূর করবো।’

তিনি বলেন, ‘দেশের পোশাক খাত নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে যে ইমেজ সংকট রয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে হবে। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করবো সেটি কাটিয়ে উঠতে। অনেকেই মনে করে, আমরা সবচেয়ে সস্তা। এই সস্তা কোনওভাবেই ভালো না বলে আমি ও আমার পরিষদ মনে করে। আমরা বলতে চাই, প্রতিযোগিতা হলো সবচেয়ে ভালো। যদিও আমরা সম্মিলিতভাবে দরকষাকষির জায়গায় পৌঁছতে পারিনি। সবাই এ বিষয়ে একমত হতে পারিনি। এখনই সময় এসেছে বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে একটা উদ্যোগ নেওয়ার।’

তিনি তৈরি পোশাক খাতের নিরাপত্তা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বলেন, ‘আপনারা জানেন শেয়ার বিল্ডিং মোটেও অ্যালাউড না। অথচ বহু চার লাইন, ছয় লাইন ফ্যাক্টরির শেয়ার বিল্ডিং রয়েছে। এখন আমাদের উচিত হবে, অন্তত এসব কারখানায় যেন ফায়ার ও ইলেক্ট্রিক সেফটিটা নিশ্চিত করা যায়। গার্মেন্ট সেক্টরে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে পারলে এবং গণমাধ্যম আমাদের সঙ্গে কাজ করলে এ খাতের হারানো ইমেজ অবশ্যই ফিরে আসবে ইনশাল্লাহ।’

নবনির্বাচিত প্যানেলের সদস্যরা নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে বেশ ভালোমানের ফ্যাক্টরি রয়েছে। আমরা মনে করি, সেলফ মনিটরিংয়ের এখনই সময়। এটি দেশের সবচেয়ে বড় রফতানি খাত। দেশের সবচেয়ে বেশি মানুষ এ খাতের সঙ্গে জড়িত। আমরাই মূলত দেশের অর্থনীতির চালিকা হিসাবে কাজ করছি। সুতরাং আমাদের বেশ কিছু দায়িত্ব রয়েছে। আমার কাছে স্বচ্ছতাও থাকবে। প্রতিশ্রুতি দিতে চাই, আমাদের প্যানেলের কাজের প্রতি নিষ্ঠার একটুও অভাব থাকবে না।’

তিনি বলেন, ‘দায়বদ্ধতার কথা যদি বলেন, আমার পুরো পরিষদ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করবে। আমার প্রয়াত স্বামী আনিসুল হক দুই বছরে দেখিয়ে গেছেন সবাইকে, কীভাবে পরিবর্তন আনতে হয়। তার মানে বদলানো সম্ভব। আমরাও সেটা পারবো। এজন্য আমাদের দায়বদ্ধতার কোনও প্রকার দ্রুটি দেখবেন না। তারপরও কোনও ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে সেটা ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান থাকলো।’

অ্যাকর্ড অ্যালায়েন্স প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তারা অনেক করেছেন আমাদের জন্য। এজন্য আমরা খুবই কৃতজ্ঞ। কিন্তু এমন একটি সময়ে আমরা দাঁড়িয়েছি যেখানে সব গার্মেন্ট পুনঃসংস্কার হয়েছে। এখন এসব কারখানার সংস্কার কীভাবে টেকসই করা যায়, সেগুলো দেখতে হবে।

‘আমরা মোটামুটিভাবে দরকষাকষি করতে শিখেছি, একটা গৌরবের জায়গায় দাঁড়াতে শিখেছি। আমরা যদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকি, সবাই একসঙ্গে কাজ করি তাহলে ঘুরে দাঁড়াবেই এ শিল্প। যত চ্যালেঞ্জই আসুক না কেন। কারণ চ্যালেঞ্জ যেমন আছে ঠিক একইভাবে সম্ভাবনাও আছে। সবাই যদি একসঙ্গে কাজ করি, দুই বছরে আমরা বহু কিছু পাল্টে দিতে পারবো।’

Source: banglatribune.com Link to the Original Article

বিজিএমই নির্বাচনে রুবানা হক পূর্ণ প্যানেলে জয়ী

তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর নির্বাচনে সম্মিলিত-ফোরাম পূর্ণ প্যানেলে জয়লাভ করেছে। প্যানেলটির নেতৃত্বে রয়েছেন মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক। তিনি পরলোকগত ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আনিসুল হকের সহধর্মিণী।

শনিবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারের বিজিএমইএর ভবনে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করে বিজিএমইএর নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড।

নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে বিজিএমইএ নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর সাংবাদিকদের জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৫৬ ভোটারের মধ্যে ভোট দেন ১৪৯২ জন, এর মধ্যে ৯৯ ভোট বাতিল হয়েছে। ভোটের হার ৭৬ দশমিক ২৭ শতাংশ।

নির্বাচনে জয়ী পরিচালকরা হলেন- রুবানা হক, এস এম মান্নান, ফয়সাল সামাদ, মোহাম্মদ নাছির, আসিফ ইব্রাহিম, আরশাদ জামাল, এম এ রহিম, কে এম রফিকুল ইসলাম, মো. শহীদুল হক, মশিউল আজম, ইনামুল হক খান, মাসুদ কাদের, ইকবাল হামিদ কোরাইশী, নাছির উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, সাজ্জাদুর রহমান মৃধা, রেজওয়ান সেলিম, মুনির হোসেন, এ কে এম বদিউল আলম, মিরান আলী, মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, মোশারফ হোসেন ঢালী, শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, মহিউদ্দিন রুবেল, শরীফ জহির ও নজরুল ইসলাম।

চট্টগ্রাম অঞ্চলে এই প্যানেলের বিজয়ীরা হলেন- মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, এ এম চৌধুরী, এ এম মাহবুব চৌধুরী, এনামুল আজিজ চৌধুরী, মোহাম্মদ আতিক, খন্দকার বেলায়েত হোসেন,অঞ্জন শেখর দাশ, মোহাম্মদ মুছা ও মোহাম্মদ মেরাজ-ই-মোস্তফা।

দুই বছর মেয়াদী (২০১৯-২১) এই নির্বাচনে পরিচালনা পর্ষদের ৩৫টি পরিচালক পদে ৫৩ প্রার্থী অংশ নেন। তবে এর মধ্যে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৯ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ২৬ পদে ভোটগ্রহণ হয়। যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪৪ প্রার্থী। এর মধ্যে সম্মিলিত পরিষদের ও ফোরামের ২৬, স্বাধীনতা পরিষদের ১৭ এবং একজন স্বতন্ত্র।

বিজিএমইএ নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড জানায়, জয়ী পরিচালকরা ১৮ এপ্রিল ভোটের মাধ্যমে সভাপতি, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচিত করবেন। এর পর ২১ এপ্রিল বিজিএমইএর নির্বাচিত নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবে বর্তমান কমিটি।

নির্বাচনে একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল স্বাধীনতা পরিষদের প্যানেল। যার লিডার ছিলেন ডিজাইন অ্যান্ড সোর্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।

Source: dailynayadiganta.com  Link to the Original Article

বিজিএমইএ নির্বাচনে পূর্ণ প্যানেলে জয়ী রুবানা হক

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নির্বাচনে পুরো প্যানেলসহ জয়ী হয়েছেন মোহাম্মাদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক নেতৃত্বাধীন পরিষদ-ফোরাম জোট।

বিজিএমইএর নির্বাচনে প্যানেল ভোট পড়েছে ৭৩২টি। এর সব ভোটই পেয়েছে পরিষদ-ফোরাম জোট। অন্যদিকে ২৬ জনের প্যানেলে ১৭ জন প্রার্থী দিয়েছিল স্বাধীনতা পরিষদ। তাই প্যানেল ভোটের একটিও পায়নি স্বাধীনতা পরিষদ। এর মাধ্যমে পুরো প্যানেলসহ জয়ী হলেন পরিষদ-ফোরাম জোটের প্যানেল লিডার রুবানা হক। তবে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি কোনো পক্ষই।

বিজিএমইএর সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে প্যানেল ভোট পেড়েছে ৭৩২টি। আর মিশ্র ভোট পড়েছে ৬৬৫টি। মিশ্র ভোটের মধ্যে পরিষদ-ফোরাম জোট ও স্বাধীনতা পরিষদ উভয়েরই ভোট রয়েছে ।

বিজিএমইএ প্রজেক্টরে প্রতি মুহূর্তে কে কতো ভোট পাচ্ছেন তা দেখানো হচ্ছে। সন্ধ্যা ৭ টা ৩৩ মিনিট পর্যন্ত ৯৪৮টি ভোট গণনা হয়েছে। এর মধ্যে পরিষদ-ফোরাম প্যানেল লিডার রুবানা হক পেয়েছে ৮৫৬টি ভোট ও স্বাধীনতা পরিষদের প্যানেল লিডার মো. জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছেন ৩৫৩টি ভোট। প্রায় একই অবস্থা দুই প্যানেলের প্রার্থীদেরও।

এ সময় পর্যন্ত সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন পরিষদ-ফোরাম প্যানেলেরর এম এ রহীম। তার ব্যালট নম্বর সাত। তিনি সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত পেয়েছেন ৮৪০টি ভোট।

বিজিএমইএর নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ঢাকা অঞ্চলের ১ হাজার ৫৯৭ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ হাজার ২০৪ জন।

অন্যদিকে, চট্টগ্রামে ৩৫৮ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ২৮৮ জন। সে হিসাবে মোট ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৭৬ দশমিক ২৮ শতাংশ।

বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ কার্যক্রম শেষে দেওয়া হয় ৩০ মিনিটের বিরতি। বিরতি শেষে বিকেল সাড়ে ৪টায় শুরু হয় গণনা কার্যক্রম।

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর অনুষ্ঠিত হলো বিজিএমইএর এই নির্বাচন। পরিষদ-ফোরাম জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোহাম্মাদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক। অন্যদিকে স্বাধীনতা পরিষদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডিএসএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।

ভোটাররা ঢাকা অঞ্চলের ২৬ জন পরিচালক নির্বাচনের জন্য ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। সেক্ষেত্রে একটি ব্যালট পেপারে ৪৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৬টি ভোট দিতে হয়েছে ভোটারদের। আর যিনি ২৬টি ভোট দিতে পারেননি তার ব্যালট পেপার বাতিল হয়ে যাবে বলে নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছে ।

তবে চট্টগ্রামের পরিচালকদের জন্য ভোট দিতে হয়নি ভোটারদের। পরিষদ-ফোরাম জোটের নয়জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মিলিয়ে ৩৫ জন পরিচালক নির্বাচিত হবেন আজ।

Source: ekushey-tv.com Link to the Original Article

বিজিএমইএ নির্বাচন: রুবানা হকের নেতৃত্বে সম্মিলিত ফোরামের নিরং নিরঙ্কুশ জয়

তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ’র নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে রুবানা হকের নেতৃত্বে সম্মিলিত ফোরাম প্যানেল। সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরামের ২৬ প্রার্থীর মধ্যে ২৬ জনই বিজয়ী হয়েছেন। শনিবার (৬ এপ্রিল) রাত ৯টার পর ভোটগণনা শেষে বিজিএমইএ’র নির্বাচনি বোর্ডের দায়িত্বে থাকা মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির এই ফল ঘোষণা করেন।
নির্বাচনের এই ফল উভয় প্যানেলই মেনে নিয়েছে। বিজয়ীরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন।
নির্বাচিতরা আগামী দুই বছরের জন্য বিজিএমইএ নেতৃত্ব দেবেন।
উৎসবমুখর পরিবেশে বিজিএমইএ’র পুরনো ভবনে (কারওয়ান বাজার) নুরুল কাদের অডিটোরিয়ামে শনিবার সকাল ৮টা থেকে টানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট নেওয়া হয়। এরপর বিকাল ৫টায় ভোটগণনা শুরু হয়। এই ভোটের মাধ্যমে আগামী দুই বছরের (২০১৯-২১) জন্য নেতা নির্বাচিত করলেন পোশাক মালিকরা।
বিজিএমইএ’র নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল এক হাজার ৯৫৬ জন। এর মধ্যে ঢাকার এক হাজার ৫৯৭ জন, বাকি ৩৫৯ জন চট্টগ্রামের। পরিচালক পদে বিজয়ীরা পরবর্তীতে সভাপতি, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও সহসভাপতি নির্বাচন করবেন।
দুই বছরমেয়াদি এই নির্বাচনে পরিচালনা পর্ষদের ৩৫টি পরিচালক পদে ৪৪ প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। তবে এর মধ্যে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৯ প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ২৬ পদে ভোটগ্রহণ হয়। এর মধ্যে প্রার্থী সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরামের ২৬ জন, স্বাধীনতা পরিষদের ১৮ জন। সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরামের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক। তিনি ঢাকা উত্তর সিটির প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের স্ত্রী। অন্যদিকে স্বাধীনতা পরিষদের প্যানেল লিডার ডিজাইন অ্যান্ড সোর্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।
সম্মিলিত পরিষদ-ফোরামের প্রার্থীরা হলেন রুবানা হক, এস এম মান্নান, ফয়সাল সামাদ, মোহাম্মদ নাছির, আসিফ ইব্রাহিম, আরশাদ জামাল, এম এ রহিম, কে এম রফিকুল ইসলাম, মো. শহীদুল হক, মশিউল আজম, ইনামুল হক খান, মাসুদ কাদের, ইকবাল হামিদ কোরাইশী, নাছির উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, সাজ্জাদুর রহমান মৃধা, রেজওয়ান সেলিম, মুনির হোসেন, এ কে এম বদিউল আলম, মিরান আলী, মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, মোশারফ হোসেন ঢালী, শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, মহিউদ্দিন রুবেল, শরীফ জহির ও নজরুল ইসলাম।
এই যৌথ প্যানেলের চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ীরা হলেন মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, এ এম চৌধুরী, এ এম মাহবুব চৌধুরী, এনামুল আজিজ চৌধুরী, মোহাম্মদ আতিক, খন্দকার বেলায়েত হোসেন, অঞ্জন শেখর দাশ, মোহাম্মদ মুছা ও মোহাম্মদ মেরাজ-ই-মোস্তফা।
জানা গেছে, ২০১৫ সালে বিজিএমইএ’র নেতৃত্ব নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়ার পর প্রতিদ্বন্দ্বী দুটি প্যানেল সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম সমঝোতার মাধ্যমে বর্তমান সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানকে সভাপতি করে একটি পরিচালনা পর্ষদ ঠিক করেছিল। এরপর থেকে আর নির্বাচন না হয়ে তিন ধাপে এ পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ বাড়িয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরপর সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর। তখন নির্বাচন না হওয়ায় মেয়াদ আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছিল।
গত ৫ জানুয়ারি ২০১৯-২১ সময়ে নির্বাচনের জন্য পরিচালনায় বোর্ড গঠন করা হয়। গত নির্বাচনের মতো এবারও বিটিএমএ’র সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলামিন নির্বাচনি বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। অপর দুই সদস্য হচ্ছেন এমসিসিআইর সভাপতি নিহাদ কবির ও চট্টগ্রামভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এএসএম নাইম।

Source: banglatribune.com Link to the Original Article